দাড়ি গজানোর ইসলামিক উপায়
  দাড়ি গজানোর ইসলামিক উপায় আপনি যদি জেনে না থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই
  লেখা হয়েছে। কারণ একটি ছেলের সৌন্দর্যতা প্রকাশে তার মুখের দাড়ি কতটা ভূমিকা রাখে
  নিশ্চয় আপনারা সেটি খুব ভালোভাবেই জানেন।
  কিন্তু সব ছেলেদের কিছু সমস্যার জন্য দাড়ি উঠে না। তাই আমরা জানতে চলেছি এই
  পোস্টে যে দাড়ি গজানোর ইসলামিক উপায় এই বিষয় সম্পর্কে। তাছাড়া আমরা এখানে
  জানতে চলেছি চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আপনি যা যা জানতে চাচ্ছেন
দাড়ি গজানোর ইসলামিক উপায়
  দাড়ি গজানোর ইসলামিক উপায় সম্পর্কে আপনি যদি জেনে না থাকেন তাহলে এ পোস্ট থেকে
  জেনে নিন। কেননা আমরা সবাই জানি যে ছেলেদের সৌন্দর্যতা প্রকাশের প্রধান বাহক
  হচ্ছে তার দাড়ি। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেক ছেলে রয়েছে যাদের প্রাপ্তবয়স্ক
  হওয়ার পরেও দাড়ি উঠে না। তখন সেই ছেলেগুলো অনেক মন খারাপ করে। সেই কারণে
  আপনাদের জানাবো যে দাড়ি গজানোর ইসলামিক উপায় সম্পর্কে।
  আরো পড়ুনঃ স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করণীয় 
  ইসলামে দাড়ি রাখার একটি শক্ত বিধান রয়েছে। আমরা যারা মুসলিম আছি তারা জানি
  আমাদের ধর্মে দাড়ি রাখার গুরুত্বটা কতটুকু। সেই কারণে আমরা চাই যে আমাদের দাড়ি
  খুব তাড়াতাড়ি উঠুক। তবে সবার সেই ভাগ্য হয় না যে তাদের মুখ ভরা দাড়ি উঠবে।
  আসলে দাড়ি হচ্ছে আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে বড় নেয়ামতের মধ্যে একটি। আমাদের ভেতরে
  অনেক এরকম ছেলে আছে যাদের বিভিন্ন সমস্যার কারণে দাড়ি উঠে না।
  এই কারণেই অনেক ছেলে যাদের দাড়ি উঠে না তারা বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন করে থাকে
  যে ইসলামিক উপায়ে দাড়ি উঠানোর কি কোন উপায় রয়েছে। তবে সরাসরি ইসলামে দাড়ি
  উঠানো বা দাড়ি ওঠার স্পেসিফিক কোন সেরকম আমল নেই। তবে আপনি একজন মুসলিম হিসেবে
  যেই ভাষাতে দোয়া করেন কিনা আপনার দোয়াতে যদি বিশুদ্ধতা থাকে তাহলে আল্লাহ আপনার
  দোয়া অবশ্যই কবুল করবেন।
    তবে অনেক আলেমগণ বলেন যে সূরা আল ইমরানের ১৫৪ নাম্বার আয়াতের কিছু অংশ পড়ে
    পানিতে ফু দেওয়ার পর সেই পানি দিয়ে মুখ ধৌত করলে ভালো সুফল পাওয়া যায়। সেই
    আয়াতটি হল, 
  
  
                         
                   
    " ওল্লহু আলিমুম বিজা তিছ চুদূর"
  
  
    এ আয়াত দিয়ে পানিতে ফু দিয়ে মুখ ধৌত করতে হবে ২৯ দিন আপনাকে। আপনি যদি
    আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে এই আমলটি করতে পারেন আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনাকে
    আপনার মন কামনা পূর্ণ করে দিবে। আপনার একটি কথা মনে রাখবেন যে বিশ্বাসের উপর
    কোন জিনিস নেই।
  
  
    দাড়ি গজানোর জন্য ইসলামী শাস্ত্রে নির্দিষ্ট কোনো দোয়া উল্লেখ নেই, তবে আপনি
    আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন সাধারণভাবে আপনার দাড়ি গজানোর জন্য এবং ভালো
    স্বাস্থ্য লাভের জন্য। এখানে কিছু দোয়া দেওয়া হলো যা আপনি দাড়ি গজানোর জন্য
    পড়তে পারেন,
  
  - সূরা আল-ইনশিরাহ (৯৪) পড়ুন: এই সূরা দোয়া এবং ধৈর্যের জন্য পরিচিত। নিয়মিত এটি পড়লে উপকারিতা হতে পারে।
 - আয়াতুল কুরসি (২:২৫৫) পড়ুন: এটি একটি শক্তিশালী আয়াত যা নিরাপত্তা এবং সুস্থতার জন্য বলা হয়। এটি দাড়ি গজানোর জন্য বিশেষভাবে বলা না হলেও, সাধারণভাবে এটা উপকারি হতে পারে।
 - রাব্বানা আতিনা ফিদ দুনইয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া কিনা আজাবান নার। ("হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতে ভালো দাও এবং আমাদের নরকের আযাব থেকে রক্ষা করো )
 
    তবে আপনাকে সব সময় পরিষ্কার থাকতে হবে। কারণ আমাদের ইসলামের রয়েছে
    পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ঈমানের অঙ্গ। আপনি যদি শুধু এগুলা আমল করেন তাহলে আপনার
    দাড়ি উঠবে এর কোন মানে নেই। আপনাকে সুন্দর এবং পরিষ্কার ভাবে থাকতে হবে। তবে
    দাড়ি ওঠা এবং না ওঠা সেটা সম্পূর্ণই আল্লাহ তায়ালার হাতে। তিনি যদি চান তাহলে
    আপনাকে দিতেও পারেন। 
  
  
    তাহলে আমরা এতক্ষন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম তা হল দাড়ি
    গজানোর ইসলামিক উপায় সম্পর্কে। আমরা আশা করছি যে আপনারা এই বিষয় সম্পর্কে
    বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। তবে এখন আমরা আলোচনা করব আরো একটি প্রয়োজনে বিষয়
    নিয়ে সেটি হল চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে।
  
  চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়
      চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে আপনি যদি বিস্তারিত না জানেন
      তাহলে এই পোস্ট থেকে আপনার জেনে নেওয়া উচিত। কারণ আপনিও জানেন যে একটি ছেলের
      জন্য দাড়ি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় জিনিস। আর আপনার যদি দাড়ি না
      উঠে থাকে তাহলে আমাদের এই পোস্ট থেকে জেনে নেন যে চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক
      উপায় সম্পর্কে। 
    
    
      কাস্টর অয়েলঃ কাস্টর অয়েল প্রাকৃতিকভাবে টকসিন পরিষ্কার করতে
      সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা দাড়ি গজাতে সহায়ক হতে পারে। এটি
      ব্যবহারের জন্য, 
    
    - রাতে ঘুমানোর আগে কাস্টর অয়েল মুঠোতে নিয়ে দাড়ির জায়গায় ম্যাসাজ করুন। সকালে ধোয়ার আগ পর্যন্ত এটি রেখে দিন।
 
      কোকোনাট অয়েলঃ কোকোনাট অয়েলও ভালো একটি বিকল্প, এতে প্রাকৃতিক
      অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বক এবং
      দাড়ি ভালো রাখে।
    
    - আপনার মুখে সুন্দরভাবে লাগিয়ে ১০ মিনিট ধরে মাসাজ করতে থাকুন। সেই নারিকেল তেলকে সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর ধুয়ে ফেলুন।
 
      অলিভ অয়েলঃ অলিভ অয়েল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং
      উপকারী। শুধু দাড়ির জন্য নয় এটি আমাদের অনেক উপায়ে উপকার করে থাকে। অলিভ
      অয়েল দাড়ি ময়েশ্চারাইজ করে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে।
    
    - এই অলিভ অয়েলআপনার দাড়ির জায়গায় মাসে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহারের পর একটু করে আপনার মুখটি মাসাজ করে নিন। তারপর মাসাজ হয়ে গেলে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর আপনার সেই প্লেটকে স্বচ্ছ পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
 
      আলমন্ড অয়েলঃ আলমন্ড অয়েল দাড়ি গজানোর জন্য সহায়ক হতে পারে কারণ
      এতে প্রচুর ভিটামিন E রয়েছে। আলমন্ড অয়েলে প্রচুর ভিটামিন ই এবং পুষ্টিগুণ
      সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে।
    
    - আলমন্ড অয়েল দাড়িতে ম্যাসাজ করুন এবং রাতে রেখে দিন। এবং সকালে তা স্বচ্ছ এবং সাদা পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন।
 
      গ্রিন টিঃ গ্রিন টি ত্বককে সজীব রাখতে সাহায্য করে এবং দাড়ি
      বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। গ্রিন টি এই দাড়ি বাদেও আরো অনেক উপকার করে থাকে
      আমাদের। তা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা বা জানার চেষ্টাও করি না।
    
    - গ্রিন টি চায়ের ব্যাগ ঠাণ্ডা করে দাড়ির জায়গায় প্রয়োগ করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং সেই পানিটি অবশ্যই স্বচ্ছ এবং সাদা পানি হতে হবে।
 
      পেঁয়াজের রস ঃ পেঁয়াজের রস ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল
      করে এবং দাড়ি গজানোর জন্য সহায়ক হতে পারে।
    
    - পেঁয়াজের রস আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এই পেঁয়াজের রসের ব্যবহারে আমাদের মুখের দাড়ি গজাতে অনেক সাহায্য করে থাকে। সেই সাথে আমাদের দাড়ি কেউ ঘন করে। এটি রাতে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট মাসাজ করে নিন। এরপর সকালে সাদা পানি দিয়ে তার ধুয়ে ফেলুন।
 
      লেবুর রস ও মধুঃ লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক
      পরিষ্কার থাকে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়ক হতে পারে। লেবুর রস এবং মধু আমাদের
      ত্বকে যে কতটা উপকার করে থাকে আমরা হয়তো তা জানি না। তবে আমরা যদি জানতাম
      তাহলে আমরা প্রতিনিয়ত এর ব্যবহার করতাম।
    
    - লেবুর রস ও মধু একই সাথে একটি ছোট পাত্রে মিশিয়ে নিন। এরপর আপনার মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট ধরে মাসাজ করুন। মাসাজ হয়ে গেলে ঘুমিয়ে পড়ুন এবং সকালে উঠে তা স্বচ্ছ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে মাসে ৫ থেকে ৬ বার করলেই দেখবেন আপনার মুখে দাড়ি উঠে যাবে।
 
      অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডো ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং প্রোটিন
      সরবরাহ করে। সেই সাথে আমাদের ত্বকের আরো বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে এই
      অ্যাভোকাডো।
    
    - অ্যাভোকাডো পেস্ট দাড়ির জায়গায় লাগান এবং ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
 
স্বাস্থ্যকর খাদ্যঃ
    - প্রোটিন: মাছ, ডিম, মাংস, বাদাম, এবং ডাল।
 
- ভিটামিন ও মিনারেল: শাকসবজি, ফলমূল, বিশেষ করে ভিটামিন A, C, E ও B কমপ্লেক্স।
 
যথাযথ হাইজিনঃ
    - নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখুন এবং দাড়ি কাঁটার সরঞ্জাম পরিষ্কার করুন।
 - 
          আপনার মুখে যেন কোনো রকম ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়া আক্রম করতে না পারে
          সেইদিকে খেয়াল রাখার চেষ্টা করবেন।
 
      এই প্রাকৃতিক উপায়গুলো চেষ্টা করতে পারেন, তবে মনে রাখবেন যে, প্রতিটি
      মানুষের শরীর আলাদা এবং দাড়ি গজানোর প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হতে পারে। ধৈর্য
      এবং সঠিক যত্ন নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।আমরা এতক্ষন যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম তা
      হলচাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়। আমরা আশা করছি যে আপনারা এই যে বিষয় তা
      হল চাপ দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা লাভ করতে
      পেরেছেন। তাহলে আসুন আমরা এখন জানি সেভ করলে কি দাড়ি গজায়।
    
  সেভ করলে কি দাড়ি গজায়
    সেভ করলে কি দাড়ি গজায় এই প্রশ্নটি বয়সন্ধিকাল পড়তে না পড়তে ছেলেদের মাঝে
    অনেক বেশি দেখা যায়। তাদের মুখের দাড়ি তোলা এতটাই আগ্রহ থাকা যে তারা কোন
    কিছু না জেনে সেভ করা শুরু করে দেয়। তবে তারা এতটুকু জানেনা যে আসলেই কি এর
    কোন কার্যকারিতা আছে কিনা। তাহলে আসুন আপনাদের জানিয়ে দেই যে সেভ করলে কি
    দাড়ি গজায়।
  
  
  
    সেভ করলে যে দাড়ি গজাবে এর কোন মানে নেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা বলেন সেভ করার সাথে
    দাড়ি উঠা এবং ঘন হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। এর কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়
    নায়। তবে সেভ করার জন্য দাড়ির আগা কেটে যায় সেখানে দাঁড়ি ওঠার সম্ভাবনা
    থাকে। তবে এটি অনেক লম্বা সময়ের কাজ হয়ে থাকে। আপনাদের আরো বিস্তারিত বলতে
    গেলে বলা হয় যে,
  
  
      কাটা ও গজানোর হারঃ দাড়ি কাটা বা সেভ করা দাড়ির বৃদ্ধির হার বা
      গুণগত মানের পরিবর্তন ঘটায় না। দাড়ি সেভ করার পর নতুন দাড়ি গজানোর প্রক্রিয়া
      শুরু হয়, কিন্তু এটি কোনও বিশেষভাবে দ্রুত করে না।
    
    
      আরো পড়ুনঃ এলার্জি জাতীয় খাবার কি কি
    
    
      সেভ করার পর দাড়ির গুণঃ কিছু লোক মনে করেন যে, দাড়ি সেভ করার পর দাড়ি
      তীব্রভাবে গজায় বা বেশি ঘন হয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি দাড়ির সীমানায় এবং গজানোর
      হার পরিবর্তন করে না। তবে সেভ করার ফলে দাড়ির প্রান্তগুলো কেটে যায়, যা
      দাড়িকে আরও ঘন মনে হতে পারে।
    
  দাড়ি না গজানোর কারণ
  আমাদের জন সমাজে সবচেয়ে বেশি এখন যে প্রশ্নগুলো দেখা যায় অল্প বয়সী ছেলেদের
  মাঝে। সেটি হল বয়স তো আর কম হলো না আমাদের দাড়ি কবে উঠবে। সেখান থেকে আরো
  প্রশ্ন আসে যে দাড়ি না গজার কারণ কি? কারণ আমরা ছেলেরা দাড়িকে অনেক বেশি
  ভালোবেসে থাকি এবং প্রাধান্য দিয়ে থাকি। সেখান থেকেই আমাদের এই প্রশ্ন বলে এসে
  থাকে। তাহলে জানো দাড়ি না গজনের কারণ কি।
  জেনেটিকসঃ
  
    
  
    
  
    
  
    
  
    
  
    
  
    
  
    
  
    
  
    
- আনুষ্ঠানিক কারণ: আপনার পরিবারের পুরুষ সদস্যদের দাড়ি গজানোর গড় হার এবং ধরণ আপনার উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু মানুষের জন্য, জেনেটিক্সই মূল কারণ।
 
হরমোনাল ইমব্যালেন্স
  - টেস্টোস্টেরন লেভেলঃ দাড়ি গজানোর জন্য প্রধান হরমোন হলো টেস্টোস্টেরন। টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কম থাকলে দাড়ি গজানোর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
 - ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন ঃ টেস্টোস্টেরনের একটি রূপ, যা দাড়ি গজানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
 - 
        এন্ড্রোজেনঃ আসলে দাড়ি গজানো বা ওঠানোর দায়িত্ব
        থাকে এন্ড্রোজেন নামক হরমোনের কাছে। যদি হরমোন সঠিকভাবে নিষ্কাশন না
        হতে পারে তাহলে আপনার দাড়ি না ওঠার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
 
ত্বকের স্বাস্থ্য
  - ত্বকের রোগঃ অ্যালোপেসিয়া, পসোরিয়াসিস, বা অন্যান্য ত্বকের সমস্যার কারণে দাড়ি গজানোর সমস্যা হতে পারে।
 - অপর্যাপ্ত যত্নঃ ত্বক এবং দাড়ির সঠিক যত্ন না নেওয়ার কারণে দাড়ির বৃদ্ধি সমস্যা হতে পারে।
 
পুষ্টিহীনতা
  - ভিটামিন ও মিনারেলঃ ভিটামিন A, B, C, D, E এবং জিংকের অভাব দাড়ির স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
 
স্ট্রেস ও মানসিক চাপ
- মানসিক চাপঃ দীর্ঘমেয়াদী স্ট্রেস হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত করে এবং দাড়ি বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।
 
সাধারণ স্বাস্থ্যগত সমস্যা
  - অ্যানিমিয়া বা অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যাঃ স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দিতে পারে। যেমন শরীরের বিভিন্ন হরমোনে ঘাটতি এবং শরীরের দুর্বলতার কারণে এটি হতে পারে।
 
এজিং
  - বয়সঃ বয়সের সাথে সাথে দাড়ি গজানোর গতি পরিবর্তিত হতে পারে। কিছু মানুষ বয়স বাড়ার সাথে সাথে দাড়ি গজাতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। বয়সন্ধিকালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে উঠে। এখন আপনার শুরুতে যদি দাঁড়িয়ে না উঠে তাহলে চিন্তা করার দরকার নেই। বয়সের শেষে হয়তো উঠতে পারে।
 
যৌনহরমোন পরিবর্তন
  - হরমোন থেরাপি বা মেডিকেশনঃ কিছু চিকিৎসা বা ওষুধ হরমোনের ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে যা দাড়ি গজানোর প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সকল ওষুধ খাওয়ার আগে চিন্তা ভাবনা করে খাবেন যে এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা।
 
জেনেটিক প্রভাব
  - এথনিকিটি: বিভিন্ন বংশগতি বা জাতিগত বৈশিষ্ট্যও দাড়ি গজানোর প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।
 
উপায় এবং পরামর্শ
  - স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন যেমন প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাদ্য খান। তাছাড়া একদম বিশুদ্ধ এবং সতেজ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
 - ত্বক এবং দাড়ির যত্ন নিন এবং পরিষ্কার ও ময়েশ্চারাইজড থাকার সম্পূর্ণ চেষ্টা করুন।
 - স্বাস্থ্যপরীক্ষা করুন এবং কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
 - মানসিক চাপ কমান। নিয়মিত ব্যায়াম ও ধ্যান করুন।
 - যদি আপনি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা অনুভব করেন, তাহলে একজন চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
 
দাড়ি গজানোর উপায় ডাক্তারের পরামর্শ
  আমরা আগেই বলেছি যে ছেলেদের সৌন্দর্য প্রকাশে সবচেয়ে বড় বাহক হল দাড়ি। আর এই
  যদি আমাদের সময় মত না গজায় তাহলে আমাদের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সেই
  কারণেই অনেক মানুষ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ চান। আমরাও এমন একটি
  বিশেষজ্ঞের কাছে থেকে পরামর্শ চেয়েছিলাম। তিনি কি বলেছিলেন সেইটাই আপনাদের সামনে
  তুলে ধরবো।
  বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলেন একটি ছেলের দাড়ি ওঠা শুরু হয় তার বয়সন্ধিকাল থেকে তবে
  কিছু কিছু ছেলের দাড়ি উঠতে অনেক সময় লাগে। সেই কারণে তারা অনেক চিন্তিত হয়ে
  পড়ে যে দাড়ি আর উঠবে কিনা। প্রধানত এই চিন্তা বা মানসিক চাপ তাদের আরো বেশি
  ক্ষতি করে এই দাড়ি ওঠার ক্ষেত্রে। দাড়ি উঠার জন্য আরও বেশি নির্ভর করে ত্বকের
  পূরুত্ব কেমন তার ওপর।
  তাছাড়াও হরমোনের অনেক সমস্যার কারণে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার অনেকের
  নির্দিষ্ট বয়স হওয়ার পরেও ওঠে না তবে শেষের দিকে অনেকের উঠলেও উঠতে পারে। এই
  বিষয় নিয়ে এতটা চিন্তা করার কোনো দরকার নেই। তবে ইসলামিক দিক থেকে দেখতে গেলে
  এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আল্লাহ তায়ালার উপর। কারণ এটি একটি নেয়ামত।
  আল্লাহ তায়ালা যাকে যখন ইচ্ছা তখন তার নিয়ামতে নিমজ্জিত করে। তবে এখানে আমার
  আধুনিক বিজ্ঞান অনেক ওষুধ এবং ক্রিমের উৎপত্তি করেছে। মেডিকেল সায়েন্স বলে এগুলো
  অনেক কাজের হয়ে থাকে। আপনি চাইলে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞ
  ডাক্তাররা আরও বলেন আপনাকে আপনার ত্বক সব সময় পরিষ্কার এবং সতেজ রাখতে হবে।
  সেই সাথে আপনার ত্বকে যেন কোন সময় ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আক্রমণ না করতে পারে
  সেই দিকেও সম্পূর্ণ খেয়াল রাখতে হবে। তারা আরো বলেন যে কোন সমস্যা ক্ষেত্রে কোন
  ওষুধ গ্রহণ করার আগে তা ভালোভাবে দেখে শুনে করবেন। যাতে সেই ওষুধগুলো আপনার ভেতরে
  নিষ্কাশিত হরমোনের কোন ক্ষতি করতে পারে। আশা করছি আপনারা এই বিষয় সম্পর্কে
  সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছে।
কি খেলে দাড়ি গজায়
  বর্তমান জেনারেশনের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যে কি খেলে দাড়ি গজায় সেই
  প্রশ্নের উত্তর অনেক জায়গায় তারা খুঁজে থাকে। তবে সকল জায়গায়  এই
  প্রশ্নের কোন উত্তর ভালোভাবে দেয়া নেই। তাই এখনকার ছেলেদের অনেক বিভ্রান্তি জনক
  অবস্থায় পড়তে হয়। তাই আমরা চলে এসেছি এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে। তাহলে এই পোস্ট
  থেকে জেনে নিন কোন খাবার খেলে আপনার দাড়ি গজাবে এবং বৃদ্ধি হবে।
  সামুদ্রিক মাছঃ সামুদ্রিক মাছের মধ্যে আপনি খেতে পারেন টুনা মাস এবং
  স্যালমন মাছ। কারণ এই মাছগুলোতে রয়েছে প্রোটিন, ফ্যাটি এসিড এবং ওমেগা ৩ এর মতো
  পুষ্টিগুণ উপাদান। যা আপনার দাড়ি গজাতেই বরং নয় এটি আপনার দাড়িকে বৃদ্ধি এবং
  চকচকে করতে অনেক সাহায্য করে থাকে। আশা করা যায় এই মাছ খাওয়ার ফলে আপনার
  দাড়ি গজাতে শুরু করবে।
  পালং শাকঃ পালং শাক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় উপকারী শাক আমাদের
  জন্য। এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি এসিড, প্রোটিন, ওমেগা ৩ এবং ভিটামিন
  সি এর মত পুষ্টিগুন উপাদান। যা আপনার দাড়ি উঠাতে শুধু নয় বরং আপনার দাড়িকে
  তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে। সেই সাথে এরা দাড়িকে সহজে
  পাকতেও দেয় না।
  নারিকেল তেলঃ আপনি একটু অবাক হলেন যে নারিকেল তেল খাবারের বিষয়ে কেন।
  আপনারা একটু আগে জানলেন কিভাবে ব্যবহার নারিকেল তেল। তবে নারিকেল তেল যে শুধু
  মাখা যায় তা কিন্তু নয় বরং সেটি রান্না করে খাওয়াও যায়। এই তেল মুখে ব্যবহারের
  পাশাপাশি রান্না করে খেলেও দাড়ি গজানোর জন্য অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। আশা
  করছি যে আপনারা এটি ব্যবহার করার চেষ্টা করে দেখবেন।
  আরো অনেক বিভিন্ন খাবারঃ খাবারে যে স্পেসিফিক নাম থাকতে হবে তার কোন মানে
  নেই। আপনারা শুধু খেয়াল রাখবেন যে সেই খাবারের  যেন প্রোটিন, ফ্যাটি এসিড,
  ওমেগা ৩, আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিনের সকল ধরনের খাবার এবং ফোলেট জাতীয়
  খাবার।আপনাদের আরো বেশি খেয়াল রাখা উচিত যে আপনি এমন কোন খাবার খাবেন না যে
  খাবারে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
  আবার এমন কোন খাবার খাবেন না যে খাবারে আপনার ত্বকের পূরুত্ব অনেক বাড়িয়ে দেয়
  এবং সেই সাথে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আক্রমণ যেন না করে। আপনারা যেসব পুষ্টিগুণ
  উপাদান এর কথা বললাম সেসব খাবার খাবেন দেখবেন আপনার নতুন দাড়ির গজাতে শুরু
  করেছে। আশা করছি যে আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা লাভ
  করেছেন।
দাড়ি গজানোর তেল ব্যবহারের নিয়ম
  বাজারে অনেক দাড়ি গজানোর তেল বের হয়েছে কিন্তু সেগুলোর কাজ কতটা যে কার্যকরী তা
  বলা একটু বিতর্কিত। এ কথা বলার কারণ যে ব্লগাররা ওইসব কোম্পানির কাছ থেকে টাকা
  খান তারা ঐসব প্রোডাক্টের কথা বলেন যে সেই প্রোডাক্ট গুলো আসলেই কাজে দেয়। তবে
  সেগুলা কোন কাজে দেয় বরং আপনার টাকা নষ্ট হয়। তাহলে আসুন ওই সকল তেলের কথা
  বলি যেগুলো আপনার উপকার করে থাকবে।
  অলিভ অয়েলঃ অলিভ অয়েল আমাদের দেহের এমন কোন কাজ নাই যেটি এই তেল
  করে না। অলিভ অয়েল চুলের জন্য এবং ত্বকের জন্য ব্যাপক উপকারী। আমাদের মুখে অলিভ
  অয়েল মাখার ফলে আমাদের মুখে দাড়ি গজাতে শুরু করে। আপনি যদি অলিভ অয়েলের সাথে
  দু তিন ফোটা ক্যাস্টর অয়েল যোগ করেন এবং এটি মাসে ৫ থেকে ৬ বার মাখেন। তাহলে
  দেখবেন আপনার দাড়ি গজাতে শুরু করেছে এবং অনেক ঘন হতে শুরু করেছে।
    ক্যাস্টর অয়েলঃ ক্যাস্টর অয়েল আমাদের ত্বকের জন্য কতটা উপকারী আমরা
    হয়তো সকলে জানি না। তবে এই  ক্যাস্টর অয়েল আমাদের মুখে মাখার জন্য
    আমাদের নতুন দাড়ি গজাতে শুরু করে। এই ক্যাস্টর অয়েল আমাদের  মুখে খালি
    মাখা যায় তবে এর সাথে যদি কয়েক ফোটা মধু ব্যবহার করা হয় তাহলে এর কাজ
    দ্বিগুণ। এই মধু এবং ক্যাস্টর অয়েল আপনি যদি মাসে .৪ থেকে ৫ বার মাখেন তাহলে
    অনেক ভালো সুফল পাবে।
  
  
    নারিকেল তেলঃ এই পোস্টে আমরা নারিকেল তেল নিয়ে অনেক বেশি কথা বলে
    ফেলেছি। কারণ নারকেল তেল এতটাই গুন যে এর আলোচনা একটু বেশি হয়ে যায়। নারিকেল
    তেলের সাথে আপনি যদি কিছু মধু মিস করে মাসে। ৫বার মুখে মাখেন তাহলে দেখবেন
    আপনার নতুন দাড়ি গজাতে শুরু করেছে। সেই সাথে আপনার দাড়িকে অতি শীঘ্রই বৃদ্ধি
    করতে এবং ঘন করতে সাহায্য করবে।
  
  
    ইউক্যালিপটাস তেলঃ ইউক্যালিপটাস তেলে প্রচুর এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও
    এন্টিফাঙ্গাল রয়েছে। আপনি যদি এই তেলের ৪থেকে ৫ ফোটার সাথে অলিভ অয়েল ৩ থেকে
    ৪ ফোঁটা মিশিয়ে দেন ।এরপর এই তেলকে আপনার মুখে যদি মাসে ৫ থেকে ৬ বার মাখেন
    তাহলে দেখবেন আপনার দাড়ি গজাতে শুরু করেছে। সেই সাথে এই দাড়ি আপনাকে অতি
    তাড়াতাড়ি পাকতে বাধা দেয়। আমরা আশা করছি যে আপনারা যদি এভাবে ব্যবহার করেন
    তাহলে আপনারাও অনেক সুফল পাবেন।
  
দাড়ি বৃদ্ধির তেলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  দাড়ি বৃদ্ধি তেলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা এই বিষয় নিয়ে অনেক দ্বিধা
  দ্বন্দ্ব রয়েছে রয়েছে। কেউ কেউ বলে যে দাড়ি বৃদ্ধির তেলের পার্শ্ব
  প্রতিক্রিয়া আছে আবার কেউ কেউ বলে যে দাড়ি বৃদ্ধির তেলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
  নেই। আসলে কোনটি সঠিক এটি নিয়ে আমাদের অনেক দ্বিধাদ্বন্দ রয়েছে। আসুন আমরা এখন
  এই বিষয় নিয়ে পরিষ্কারভাবে জানার চেষ্টা করি।
  আসলে দাড়ি বৃদ্ধির তেলের তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। এই তেলটি
  আসলে অনেক উপকারী এবং অনেক উপকারী পুষ্টিগুণ দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া
  পুষ্টিগুণ  থাকার কারণে এই তেলগুলো ভালো কাজ করে বলে থাকে বিশেষজ্ঞরা। তবে
  অনেকে যেসব সমস্যাগুলি বলে সেগুলি হল নরমাল সমস্যা যা অতিরিক্ত ব্যবহার করলে দেখা
  যায়।
  সেই সমস্যা গুলির মধ্যে রয়েছে যে এই  তেলগুলো যদি কেউ অতিরিক্ত পরিমাণে
  বেশি ব্যবহার করে থাকে তাহলে তার মুখে তৈলাক্ততা ভাব দেখা দেয়। ফলে ব্যাকটেরিয়া
  এবং ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে। ফলে এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করার কারণে হয়ে থাকে
  তাই  তেলকে কে সরাসরি দোষারোপ করা সঠিক হবে না।তবে এর আরো একটা সমস্যা
  রয়েছে সেটি হল।
  যেহেতু এই তেলে ভিটামিন সি এর পরিমাণ রয়েছে তাই এই জেলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে
  মুখে উষ্ক শুষ্কতা এবং মুখের ফ্যাকাশে ভাব দেখা দিতে পারে। তবে এটিও অতিরিক্ত
  ব্যবহার করলে দেখা দিবে তা ছাড়া দেখা যাওয়া সম্ভাবনা নেই। তাই বলায় যেতে পারে
  এই তেলকে এই কারণে জন্য সরাসরি দোষারোপ করা যাবে না। আশা করছি আপনারা এই বিষয়টি
  বুঝতে পেরেছেন।
দাড়ি গজানোর ওষুধ
  এবার সময় এসেছে দাড়ি গজানোর ওষুধ সম্পর্কে আলোচনা করা্র। আপনাদের সামনে এখন
  আমরা আলোচনা করতে চলেছি দাড়ি গজানোর শ্রেষ্ঠ ঔষধ নিয়ে। আমরা গবেষণার মাধ্যমে
  জানতে পেরেছি যে মাত্র তিনটি ওষুধ যা দাড়ি গজানোর জন্য খুব ভালো কাজ করে থাকে।
  আমরা সেই তিনটি ওষুধ নিয়েই আলোচনা করতে চলেছে এই পর্যায়ে।
  মিনোক্সিডিলঃ বাজারের সবচেয়ে প্রশংসিত ওষুধ হচ্ছে এই মিনোক্সিডিল। এই
  ওষুধ ব্যবহারে অনেকেই অনেক সুফল পেয়েছে। এইসব ব্যবহারের জন্য আপনাকে প্রথমে
  আপনার মুখ ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। এরপর এর ওষুধ তোলার টিপ দিয়ে ওষুধ তুলে নিয়ে
  যেখানে দাড়ি নেয় সেখানে মাখতে হবে। চার ঘন্টা মুখে রাখার পর ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে
  ফেলতে হবে। তাহলে আপনি ভালো  সুফল পাবেন।আর এই প্রোডাক্টের দাম প্রায় ৪৫০০
  টাকার মত।
  আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
  FINASTERIDE: এই ওষুধটিও খুব ভালো কাজ করে থাকে বলে এর সুনাম অনেক
  রয়েছে। এই ওষুধটি ট্যাবলেট  জাতীয়। এই ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম জানতে
  আপনাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের  কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে। তবে এই ওষুধটির দাম
  কিন্তু তেমন বেশি নয় এটি একটি ট্যাবলেট এর দাম মাত্র ১১ টাকা করে।
  BEARD GROWTH OIL: এই তেলের প্রশংসাও অনেক হয়ে থাকে।  এই তেল ব্যবহার
  করার ফলেও আপনার দাড়ি গজাতে শুরু করবে।  এই তেল ব্যবহার  করার পর
  ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে আপনার মুখ ধুয়ে নিতে হবে। আর এই তেলের দাম পড়বে ৭০০
  টাকা আমাদের বাংলাদেশী টাকায়।
আমাদের শেষ কথা
  আমরা এই পোস্টে আলোচনা করেছি যে দাড়ি গজানোর ইসলামিক উপায় এবং সেই সাথে আমরা
  আরো অনেক বেশি আলোচনা করেছি সেই জন্য আমরা আশা করছি যে আপনার এই বিষয়গুলো
  সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। কারণ এই জিনিসগুলো খুবই সংবেদনশীল
  জিনিস। একটি ছেলের কাছে তার দাড়ি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালবাসা একই জিনিস।আর
  সেই দাড়ি যদি বয়স্ক হওয়ার পরও না হয় তাহলে অনেক কষ্টের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়
  এ্টি।
  আমরা এখানে যা আলোচনা করলাম তার মধ্যে দাড়ি গজানোর ইসলামিক উপায় এবং আরো সকল
  কিছু তা নিজস্ব অভিজ্ঞতা এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে শুনে লেখা হয়েছে।
  তবুও আপনারা আরও ভালো ফল পেতে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ
  থেকে জেনে নিবেন। কারণ আমরা চাই না যে আমাদের কারণে আপনাদের অনেক কিছু ক্ষতি হয়ে
  যাক।

.webp)

ট্রাজেডি আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url